অমৃত ক্ষরণ
-সুমিত মোদক
রাত গভীর থেকে গভীরতর হলে, অন্ধকারও ধ্যানস্থ হয়;
একে একে নেমে আসে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম আলোর রেনু;
নেমে আসে এক এক করে সাদা সাদা পরী;
ঘরের মধ্যেই পরীরা উড়ে বেড়ায়, নেচে বেড়ায়,
খেলা করে আলোর রেনু নিয়ে …
এখন আমি ঘুমের মধ্যে ধ্যানস্থ হতে পারি;
এখন আমি কাজের মধ্যেও ধ্যানস্থ হতে পারি;
তুমি আছো বলেই …
তোমার সঙ্গে একই ঘর সংসারে সারাটা জীবন;
তোমার সঙ্গে জন্মান্তরের পথ চলা;
কিন্তু, তোমার সঙ্গে দেখা হয় না আর
আজকাল;
এখন দুজনই দুই ধূমকেতু-পথে ধূলিকণা হয়ে;
সাদা পরীগুলো দুজনকেই পরিক্রমা করে চলেছে নীরবে প্রতিদিন, প্রতিরাতে,
জন্মান্তরে;
মস্তিষ্কের মধ্যে জোনাকি-আলো গুলো জ্বলছে, নিভছে;
জন্ম দিচ্ছে আলোর উৎস ভূমি;
আমি একটু একটু করে সেই ভূমির দিকে এগিয়ে চলেছি;
তুমিও …
নিজের মধ্যে ধ্যানস্থ হলে শুরু হয় অমৃত ক্ষরণ;
তখনই ছুঁয়ে থাকতে পারি এক অপার বিস্ময়।